আর্থিক বৃদ্ধির হার কমছে। দারিদ্র মোচনের হার কমছে। চাকরি কমছে। বিজেপি বাড়ছে! হ্যাঁ, দারিদ্র ‘বাড়ছে’, বেকারত্ব ‘বাড়ছে’, সাম্প্রদায়িক হামলা বাড়ছে, ছাত্রছাত্রীদের ওপর নৃশংস আক্রমণ ‘বাড়ছে’। বিরোধীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বাড়ছে। ভারত ব্রিটিশমুক্ত হয়েছে প্রায় ৭৩ বছর আগে। সরকার অনুচিত কাজ করেছে নানা সময়, ঘটনা। ১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও রূপায়ণ এতদিন পর্যন্ত ছিল সবচেয়ে বড় ক্ষতচিহ্ন। নরেন্দ্র মোদির সরকারের সিদ্ধান্ত, তার চেয়ে বড় ক্ষতচিহ্ন রেখে যেতে হবে। দিন পাল্টাবে। কিন্তু ক্ষত নিরাময় হতে সময় লাগবে। একটা সাধারণ বিষয়ে আলোকপাতের চেষ্টা করি।
২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসে প্রতি বছর দিল্লিতে হয় বিশেষ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান। সব রাজ্য থেকে ট্যাবলো যায়, কোনও সাফল্যমুখী প্রকল্প বা রাজ্যের বিশেষ সংস্কৃতি নিয়ে। এবার, কয়েকটা রাজ্য বাদ। বলা হচ্ছে, সব রাজ্যের ট্যাবলো নেওয়া যায় না। সময়াভাব! বাছাই করার পদ্ধতিটা রহস্যময়। প্রথমে জানা গেল, বাংলা বাদ। তারপর খবর, বাদ কেরল। কেন, বাংলার মতোই ‘শত্রু’ সরকার আছে বলে? বাদ মহারাষ্ট্র। কেন, বিজেপি–র মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে বিরোধীরা সরকার করেছে বলে? বাছাই কমিটি রাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে। বাংলা প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হল। কেরলের অভিজ্ঞতা ভিন্ন নয়। কেরলের ট্যাবলো ছিল রাজ্যের সংস্কৃতির একটা দিক নিয়ে। বিকল্প প্রস্তাব ছিল, ব্যাকওয়াটার পর্যটন। বাতিল। বাংলার প্রস্তাব ছিল তিনটে, যেন যে–কোনও একটা নেওয়া হয়। কন্যাশ্রী, সবুজশ্রী, জল ধরো জল ভরো। কন্যাশ্রী আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। সবুজশ্রী পরিবেশ ক্ষেত্রে যুগান্তকারী। জল ধরো জল ভরো সময়োচিত। বাদ। আর কত নীচে নামবে ফ্যাসিস্ত সরকার?

